Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
মাইজপাড়া মঠ, স্যার জগদ্বিশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর ও রাঢ়ীখাল বেলায়েতীয়া হাফেজিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা
বিস্তারিত

ব্যানার টি মাইজপাড়া মঠ, স্যার জগদ্বিশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর ও রাঢ়ীখাল বেলায়েতীয়া হাফেজিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা

 

মাইজপাড়া মঠ :

মৃত্যুর পর চিতার স্থানকে স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার জন্য অতীতে মঠ নির্মিত হত। দেওয়ান মুর্শিদকূলি খান বাংলা ১২১৯ সনে জমিদার প্রথা চালু করেন। তখন বিক্রমপুরকে ৮টি তাল্লুক কে (পরগণা) বিভক্ত করে ৮ জনকে জমিদারী দায়িত্ব প্রদান করেন। ৮ টি তাল্লুক হলো ভাগ্যকূল, শ্রীনগর,মাইজপাড়া,সিংপাড়া, তালতলা,সিরাজদিখান,লৌহজং ও বালিগাঁও । মাইজপাড়া পরগণার দায়িত্ব গ্রহণ করেন গোবিন্দ প্রসাদ রায়। গোবিন্দ প্রসাদ রায়ের মৃত্যু হলে তার ছেলে তারা প্রসাদ রায় ও বৈদ্যনাথ রায় জমিদারের হাল ধরেন। তাদের ২ জনের প্রচেষ্টায় মাইজপাড়া বাজার,বাজারস্থ পোষ্ট অফিস ও একটি বড় খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠিত হয় যা আজও বিক্রমপুরের মধ্যে এই মাঠটি বৃহত্তম মাঠ হিসেবে পরিচিত। মাইজপাড়া বাজার থেকে জনসাধারনের চলাচলের কথা মাথায় রেখে ঢাকার সাথে যোগাযোগের জন্য “গহন” নৌকার সার্ভিস চালু করেন। জমিদার তারা প্রসাদ রায়ের প্রথম স্ত্রী সূধামনি দেবী নিঃসন্তান থাকা অবস্থায় ব্রজবিহারী রায় নামে এক পালক পুত্র গ্রহণ করেন। অপরদিকে তারাপ্রসাদ রায়ের বংশধর হচ্ছেন পূর্ণ চন্দ্র রায়, বিলাস চন্দ্র রায়, অজিত চন্দ্র রায়। বর্তমানে ঐ বাড়িতে বসবাসরত সুজিত রায় ও শংকর চন্দ্র রায়। জমিদার তারা প্রসাদ রায় মৃত্যুবরণ করলে তার চিতাস্থলে প্রায় ১৫০ বছর আগে মাইজপাড়া মৌজার সি.এস ৮১৫ দাগে ৬৮ শতাংশ ভূমিতে ১২০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্টি মাইজপাড়া “মঠ” টি তৈরি করা হয়। তার দুই স্ত্রী সূধামনি দেবী ও নবদূর্গা দেবী মৃত্যুবরণ করলে  “মঠ” টির দুই পাশে তাদের স্মুতির উদ্দেশ্যে আরও দুটি ছোট ছোট “মঠ” তৈরি করা হয়। মাইজপাড়া বাজারের একটু দক্ষিণে মূখার্জি বাড়িতে অনুরুপ উচ্চতার আরেকটি “মঠ” নির্মিত হয়েছিল। ১২৭ বছর আগে বাংলা ১২৯২ সনের ৩১ আষাঢ় ভূমিকস্পে তারা প্রসাদ রায়ের চিতাভগ্নের উপর নির্মিত “মঠ” টি সহ মূখার্জি বাড়ির “মঠ” টি ও ভেঙ্গে  যায়। কিন্ত ভেঙ্গে যাওয়ার ১ বছর পর বাংলা ১২৯৩ সনের বৈশাখ মাসে তারা প্রসাদ রায়ের “মঠ” টি পুণঃনির্মিত হয়। মঠের গায়ে লিখিত হরফ থেকে বোঝা যায় এটি তৈরি করেছিলেন রাজ নারায়ণ নামে এক নির্মাণ কারিগর। মঠের নির্মাণশৈলী অত্যন্ত চমৎকার ও কারুকার্যময়। মঠের খোপগুলোতে প্রচুর টিয়া পাখি থাকে।  মঠের চূড়ায় পর পর দুটি তামার নির্মিত কলস রয়েছে। অনেকের ধারণা কলসগুলোতে প্রচুর ধনরত্ন রয়েছে। দীর্ঘ দিন সংস্কারহীন থাকায়  এই ইতিহাস ও ঐতিহ্যটি হারিয়ে যেতে বসেছে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এই স্মারক মাইজপাড়া “মঠ” টি সংস্কার ও সংরক্ষণ করা জরুরী। 

 

স্যার জগদ্বিশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর: স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ( ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যার সাগর)

 

জন্ম: ৩০ শে নভেম্বর, ১৮৫৮।

 

জন্মস্থানঃ পূর্ববঙ্গের ( অধুনা বাংলাদেশ) ময়মনসিংহ শহর।

পিতাঃ ভগবানচন্দ্র বসু, মাতাঃ বামাসুন্দরী।

 

শিক্ষাঃ ১৮৬১ ঃ প্রাথমিক পাঠ ১৮৬১ সাল থেকে ১৮৭০ সাল পযর্ন্ত । ফরিদপুর বাংলা স্কুলে শিক্ষা আরম্ভ।

       ১৮৬৯ ঃ কলকাতা হেয়ার স্কুল ভর্তি । তিন মাস পরে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে শিক্ষা আরম্ভ।

       ১৮৭৫ ঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যায়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বৃত্তি নিয়ে উত্তীর্ণ।

       ১৮৭৭ ঃ এফ. এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

       ১৮৭৯ ঃ  কলকাতা বিশ্ববিদ্যায়ের থেকে বি. এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

       ১৮৮০ ঃ লর্ডনে ডাক্তারি পড়া শুরু। পরে তা ছেড়ে দেন।

       ১৮৮১ ঃ জানুয়ারী মাসে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যায়ের ক্রাইস্ট চার্চ কলেজে ভর্তি।

       ১৮৮৪ ঃ প্রকৃতি বিজ্ঞানে ‘ট্রাইপস’ পাস এবং একই সঙ্গে লন্ডন বিশ্ববিদ্যায় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক।

 

মৃত্যুঃ ২৩ শে নভেম্বর গিরিডিতে মহাপ্রয়াণ।

 

 

রাঢ়ীখাল বেলায়েতীয়া হাফেজিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা: রাঢ়ীখাল বেলায়েতীয়া হাফেজিয়া ইসলামিয়া মাদাস্রা টি বিশিষ্ট্য শিল্পগুপ পাকিজা কম্পানির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম খান ও সামাজিক অর্থয়নে পরিচালিত হয়ে আসছে। মাদ্রাসা টি স্থাপিত হয় ১৯৭৩ সনে। বর্তমানে কাওমে পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বছর ১০ /১২ জন ছাত্র অত্র মাদ্রাসা থেকে কোরআনের হাফেজ হয়ে বের হয় এবং বিভিন্ন মসজিদে ধর্মীয় কাজে সহযোগিতায় বিশেষ অবদান রাখছে।