Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
রাঢ়ীখাল রাম কৃঞ্চ মিশন, ডঃ হুমায়ুন আজাদ এর সমাধি ও আফাজ-নাতেকা মেমোরিয়াল হাসপাতাল
বিস্তারিত

ছবিটি রাম কৃঞ্চ মিশন , ডঃ হুমায়ুন আজাদ এর সমাধি ও আফাজ নাতেকা মেমোরিয়াল হাসপাতাল

 

শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম (মিশন):

১৯২১ সনে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়। রাঢ়ীখালের নিবেদিত প্রাণ মুকুন্দলাল বসু, কামাক্ষ্যা মিত্র, বঙ্কিম চন্দ্র দাস ও কেদার সেন এ মহান চার ব্যক্তির প্রচেষ্টায় উক্ত আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়। উক্ত আশ্রমটি একটি সেবামূলক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মতাদর্শের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখানে মানুষের  জন্য বিনামূল্যে অন্ন, বস্র বিতরণের ব্যবস্থা ছিল। তাছাড়া এখানে একটি ছাত্রাবাস ছিল যেখানে ছাত্রদেরকে থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হত। জনসাধারণকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ঔষধ সেবা দেওয়া হত। ১৯৪৭ সনের পর থেকে উক্ত সেবামূলক কাজগুলো বন্ধ হয়ে যায়। শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম (মিশন) কম্পাউন্ডে একটি মন্দির রয়েছে যেখানে আগের মত আজও দূর্গাপূজা, কালীপূজা, সরস্বতীপূজা, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের পূজা, মা শারদাদেবীর পূজা ও স্বামী বিবেকানন্দ পূজার মত বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো অনুষ্ঠিত হয়।

 

ডঃ হুমায়ুন আজাদ:

বাংলাদেশের প্রথা বিরোধী, বহু মাত্রিক, জ্যোর্তিময় লেখক, কবি, ঔপন্যাসিক, ভাষা বিজ্ঞানী সময়ের সাহসী ভাষ্যকর, স্পষ্টভাষী সমালোচক ও অধ্যাপক ডঃ হুমায়ুন আজাদ বিক্রমপুরের রাঢ়ীখাল গ্রামে (১৪ বৈশাখ ১৩৫৪ ) ২৮ এপ্রিল ১৯৪৭ সনে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম প্রয়াত রাশেদ আকন্দ ও মাতার নাম প্রয়াত জোবেদা খাতুন। কর্ম জীবনে তিনি প্রাচ্যের সক্রেটিস নামে পরিচিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ছিলেন। ভাষা বিজ্ঞানে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। “ পাক সাদ জমিন সাত বাদ” বিখ্যাত এই প্রবন্ধ লিখে তিনি মৌলবাদী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের রোষানলে পড়েন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে ২৭ ইং ফেব্রয়ারী সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমীর বইমেলা থেকে ফেরার সময় চাপাতি দিয়ে আঘাত করে মৌলবাদীর, তাকে গুরুতর আহত করেন। ৭ইং আগষ্ট ২০০৪ P.E.N এর আমন্ত্রনে কবি হাইনরিশ হাইনের উপর গবেষনা বৃত্তি নিয়ে জার্মানে যান। ১২ আগষ্ট ২০০৪ মিউনিখস্থ ফ্লাটের নিজ কক্ষে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বহুমাত্রিক এই লেখকের বিখ্যাত লেখনির মধ্যে রয়েছে পাক সাদ জমিন বাদ, নারী, সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে, অলৌকিক ইস্টিমার, জ্বালোচিতা,ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল, অন্ধ কারে গন্ধ রাজ ইত্যাদি । মৃত্যু কালে তিনি এক স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্র রেখে যান।

 

আফাস-নাতেকা মেমোরিয়াল হাসপাতাল:

 মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার দামলা গ্রামের ভূইয়া পরিবার এলাকার জনসাধারনের মাঝে সমাজসেবামূলক কাযর্ক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে ২০০৭ সনে তাদের শ্রদ্বেয় পিতা মাতার নামানুসারে “আফাস-নাতেকা মেমোরিয়াল ট্রাষ্ট” গঠন করেন। “আফাস-নাতেকা মেমোরিয়াল হাসপাতাল” “আফাস-নাতেকা মেমোরিয়াল ট্রাষ্ট”এর একটি অংগ প্রতিষ্ঠান। ২০০৯ সনে “আফাস-নাতেকা মেমোরিয়াল ট্রাষ্ট” এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আমিনুজ্জামান ভূইয়া “আফাস-নাতেকা মেমোরিয়াল হাসপাতাল” ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন এবং ২০১১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম হাসপাতালটির সেবাকাযর্ক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।শুরু থেকেই হাসপাতালটি প্রতিদিনই এলাকার সবশ্রেনীর মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা, ঔষধ ও রোগ নির্ণয় পরীক্ষা সেবা দিয়ে আসছে। তাছাড়া প্রতি১৫দিন অন্তর অন্তর মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে।